আচার্য মহাকনককাঞ্চন সুদূর পিঙ্গলগিরির উত্তরাংশে অবস্থিত সারবানবিহার থেকে ভিক্ষুদলসহ বুদ্ধশাসনের মহিমা রক্ষার স্বনির্বাচিত দায় নিয়ে পরিব্রাজনে বহির্গত হয়েছেন। লক্ষ্য, বিরামনগর। এই যাত্রাতেই অশীতিপর কনককাঞ্চন জীবনে শেষবারের মতো একটিবার ছুঁতে চেয়েছেন নিজের যৌবনের কর্মকেন্দ্র অপর গণরাজ্য উদয়নগরীকে। উদয়নগর ও বিরামনগরী— দু জায়গাতেই রাষ্ট্রতন্ত্রের বিভেদ ও ক্ষমতার রক্তপিপাসু লেলিহান লোভের কৃষ্ণচ্ছায়া। ছলবলকৌশল, প্রস্বত্বভোগীদের প্ররোচনা, অন্তর্বিরোধকে পরিপুষ্টিদান, প্রজাতন্ত্রকে উচ্ছেদ করে রাজতন্ত্র কায়েম করার জন্য মোহকুহক বিস্তারের প্রচারনা— সঙ্ঘভেদের প্রচেষ্টা, দেশবিনষ্টির গরলভাস এই উপন্যাসকে ঘটনা-সমাকীর্ণ করে তোলে। খণ্ড-সময়ের অপচিত প্রবাহের তীব্র গড্ডলের মধ্যেও চিরকালীন মানব-প্রতিযাত্রার ইতিহাস- সূত্রটিকে মহাতেজা মহাকনককাঞ্চন মানবসম্বন্ধের অন্তর্সূত্র রূপে আবিষ্কার ও পুনরাবিষ্কার করেছেন। ইতিহাস-সম্ভব তন্ত্রের মাঝে থাকা মানুষের ক্ষেত্রে বার বার সভ্যতার অগ্রগতির নামে স্থবির-উন্মত্ততার বিরুদ্ধে মূর্ত প্রতিযাত্রাই অন্তর্শক্তি হয়ে দেখা দিয়েছে।
Customers' review
Reviews
Be the first to review ""