কোনো দূরদেশ
থেকে অচেনা এক ঘূর্ণিঝড় উড়িয়ে নিয়ে
আসে রাশি রাশি ধুলো, সঙ্গে নিয়ে আসে বিস্মৃতি আর ভয়।
বাহিতিয়া... নদীর মোহনায় বেঁচে থাকা এক গ্রাম। তার পাশেই রয়েছে শুখাইবন, সম্বৎসর স্যাঁতসেঁতে হয়ে পড়ে থাকা এক আদিম অরণ্য, যার গা বেয়ে নামে কুয়াশা, তার গহীন থেকে ক্ষণে ক্ষণে বেরিয়ে আসা আসল, নকল জীবজন্তুর কবলে হারিয়ে যায় গ্রামের মানুষ। বছরের পর বছর ধরে শিশুরা নিখোঁজ হয়, ফেরে অন্য রকম হয়ে। জেলেরা গল্প বলে, নিজেকে হারিয়ে ফেলা নদীর জোলো বাতাস নাকি খেয়ে ফেলে স্মৃতি, মানুষের সত্ত্বা। পথেঘাটে গজিয়ে ওঠে বনচাঁড়ালের ঝোপ, তারা মাথা ঘোরায়, নজর রাখে... বর্ষার ভেজা মাটি দিনের দিন শুকিয়ে কড়কড়ে হয়ে ধুলোর ঝড় তোলে, সেই ধুলো নাকি মানুষের সর্বস্ব খেয়ে ফেলতে পারে।
এমনই সময়ে ফিরে আসে রোমা, নিজের ভুলে যাওয়া শৈশব আর স্বামী-সন্তান নিয়ে। তার দুই যমজ ছেলেমেয়ে, এক শহরে জীবনের বুকে লুকিয়ে থাকা জাদুর চিহ্ন। তারা জানে না, অজানা এক ভয় সেঁধিয়ে রয়েছে বাহিতিয়ার ঘরে ঘরে, পথেঘাটে, মাটিতে, জলে।
এই বই ভূতের গল্পের বই নয়। এই গল্প এক আদিম, অপার ভয়ের গল্প, যা মানুষের মনের মধ্যে বসেও বাইরে থেকে নজর রাখে। এই ভয়ের কোনো আদি নেই, অন্ত নেই, নেই কোনো সময়কাল... যেমন সে সে'দিন ছিল, তেমনই আজকে বা বহু বছর পরেও রয়ে যেতে পারে।
'খেগো' কেবল পড়ে ভুলে যাওয়া যায় না, 'খেগো' বেঁচে থাকে মনে
Customers' review
Reviews
Be the first to review ""