ভূমিকা লেখার সুযোগ পেয়ে নিজের ঢাক নিজে পেটাতে চলে এলাম এমনটা ভাববেন না, প্লিজ। এই জায়গাটাকে আমি লেখক-পাঠক সেতুবন্ধনের অনবদ্য সুযোগ বলে মনে করি। তাই এমন অবকাশকে আমি কখনও হাতছাড়া করি না।
বেশিরভাগ পাঠকই হয়তো আমার লেখা আগে কখনও পড়েননি। তাঁদের জন্য বলি, আমি মূলত ইতিহাসের উপন্যাস, গল্প এসব লিখতেই ভালোবাসি।
তবে মানুষের আদি ও অকৃত্রিম অনুভূতি ভয় নিয়ে খেলা করতেও আনার
ভালো লাগে। ব্যাপারটা কেমন একটু উদাহরণ দিয়ে বলছি। ছোটবেলায় শীতকালে ফ্যান চালিয়ে লেপমুড়ি দিয়ে একটা নিষিদ্ধ আনন্দ পেতাম। ঠাণ্ডা লেগে হ্যাঁচ্চো করব জানার পরেও গা-শিরশিরে শীতটাকে অনুভব করতে মনে পুলক জাগত। পড়ে বা লিখে ভয় পাওয়াতেও আমি তেমনই একটা আনন্দ বোধ করি। কিশোর ভারতী পত্রিকার পাতায় প্রথম ভয়ের গল্পগুলো
লিখতে শুরু করেছিলাম। পরে অন্যান্য পত্রপত্রিকাতেও কাহিনিগুলো ছড়িয়ে
পড়েছে। তাদের কোনওটার এলিমেন্ট আমি নিজের গ্রামীণ জীবন থেকে আবিষ্কার করেছি, আবার কোনওটার বীজ পেয়েছি কোথাও বেড়াতে গিয়ে।
যে গল্পগুলো শোনার পরে আমি প্রবল ভয় বা ঝাঁকুনি খেয়েছি, সেগুলোকে নিজের মতো করে প্রলেপ দিয়ে, পালিশ করে আপনাদের সামনে পেশ করে
দিলাম। আমার এই বুকনিবাজি সহ্য করছেন মানে এইরকম কয়েকটা কাহিনি নিয়েই আমার লেখা হরর গল্পের সংকলন 'এবং অন্ধক'-কে আপনি বা আপনারা হাতে তুলে নিয়েছেন। গল্পগুলোর রসদের সবটাই এদেশীয়।
Customers' review
Reviews
Be the first to review ""