x

Welcome Guest

Login or Register
0 0

Khuro

Author - Shubro Dutta

₹207 ₹230

10% off

Description

Publisher- Khoai Publishing House
Writer- Shubro Dutta
Language- Benagli
Binding-Hardbound

খুড়ো বললেন — ছবি বিশশেস! আহা। 
খুড়ো বেঁচে থাকতে সিনেমা দেখতে বড় ভালোবাসতেন। 
বললুম — খুড়ো, এখন আর ফিলিম দেখেন?
— হ্যাঁ, দেখি বইকি। বিদ্যেধর দত্ত মরার পর আটামাখার জলায় পর্দা খাটিয়ে ফিলিম দেখায়। তোর খুড়ি তো মাঝেমধ্যেই যায়। আমি
মাঝেসাঝে। মনে একটু কিন্তু-কিন্তু হল। জলা-বাদা জায়গা! সেখানে পর্দা খাটিয়ে
ফিলিম? বসে কোথায়?
খুড়ো বুঝলেন মনের কথা। 
— আরে, চারদিকে গাছের ডালে পা ঝুলিয়ে বসে দেখি। তাল, নারকোল, নিম, বেল, আশশ্যাওড়া। মাঝখানে ফিলিম।
বোঝো কান্ড! জলার ধারে গাছে গাছে! ছবিটা ভাবার চেষ্টা করলুম। 
— কি ফিলিম দেখেন খুড়ো?
— সাদা কালোই বেশি চলে। পুরনো লোকেরই তো ভীড় বেশি। এইতো গেল বুধবার বধূ দেখলাম। আহা, ছবিবাবু। সঙ্গে সাবিত্তি। 
গুনময়ীর কালো রূপের কী গুণ আমি গাই!
খুড়ো এরপর গান ধরে না ফেলে তাই তড়িঘড়ি বললুম — তা এই যে সব ফিলিম, এসব পান কোথায়? 
— কেন, বিদ্যেধর দেখায়।
— না। তা না খুড়ো। মানে, শুনেছি মানুষ খালি হাতেই পরপারে যায়। বিদ্যেধর দত্ত কি প্রোজেক্টর মেশিন, ছবির ফিতে এসব ভাড়া করে আনে? নাকি পেনড্রাইভ, ল্যাপটপ, এইসব?
— ওরে না রে। ওসব একেলে ব্যাপার স্যাপার। বিদ্যেধর সেকেলে লোক। 
— তাহলে? ফিলিম চলে কিসে?
— কেন? মন থেকে!
— বুঝলুম না খুড়ো!
— মন রে মন। বিদ্যেধরের সব মনে আছে। সেগুলো ভাবে। ভাবনার বড় জোর রে বাপ। পর্দায় ছবি ভেসে ওঠে। পুরো ফিলিম। 
সেকেলে পদ্ধতি শুনে ঘাবড়ে গেলুম।
মুখে বললুম — স্মৃতিধর!
খুড়ো হাসলেন — তেমন জিনিস পাতে না দিলে কিন্তু ধারণ হবে না বাপ। মনে গিয়ে না ঠোকরালে কিন্তু গত্ত হবে না। আর গত্ত না হলে জল জমবে না। সেই জল হাসতে কাঁদতে উপচে পড়বে, মানুষ ভাববে, তবে না বিদ্যেধরের মতন, কী যেন বলে, প্রোজেকশন করবে!
চুপ করে রইলুম। কী-ই বা বলার আছে?
খুড়োর গলা ভেসে এল — সামনের হপ্তায়... কাবলিওলা। ছবি বিশশেস। আর... বিদ্যেধর।
ফিরছি। যাওয়ার পথে দূর থেকে আটামাখার জলাজমিটা দেখা যায়...

Prices are subjected to change. We will inform you in such cases
Our Shipping Charges
  • Features
  • Reviews(0)

Publisher- Khoai Publishing House
Writer- Shubro Dutta
Language- Benagli
Binding-Hardbound

খুড়ো বললেন — ছবি বিশশেস! আহা। 
খুড়ো বেঁচে থাকতে সিনেমা দেখতে বড় ভালোবাসতেন। 
বললুম — খুড়ো, এখন আর ফিলিম দেখেন?
— হ্যাঁ, দেখি বইকি। বিদ্যেধর দত্ত মরার পর আটামাখার জলায় পর্দা খাটিয়ে ফিলিম দেখায়। তোর খুড়ি তো মাঝেমধ্যেই যায়। আমি
মাঝেসাঝে। মনে একটু কিন্তু-কিন্তু হল। জলা-বাদা জায়গা! সেখানে পর্দা খাটিয়ে
ফিলিম? বসে কোথায়?
খুড়ো বুঝলেন মনের কথা। 
— আরে, চারদিকে গাছের ডালে পা ঝুলিয়ে বসে দেখি। তাল, নারকোল, নিম, বেল, আশশ্যাওড়া। মাঝখানে ফিলিম।
বোঝো কান্ড! জলার ধারে গাছে গাছে! ছবিটা ভাবার চেষ্টা করলুম। 
— কি ফিলিম দেখেন খুড়ো?
— সাদা কালোই বেশি চলে। পুরনো লোকেরই তো ভীড় বেশি। এইতো গেল বুধবার বধূ দেখলাম। আহা, ছবিবাবু। সঙ্গে সাবিত্তি। 
গুনময়ীর কালো রূপের কী গুণ আমি গাই!
খুড়ো এরপর গান ধরে না ফেলে তাই তড়িঘড়ি বললুম — তা এই যে সব ফিলিম, এসব পান কোথায়? 
— কেন, বিদ্যেধর দেখায়।
— না। তা না খুড়ো। মানে, শুনেছি মানুষ খালি হাতেই পরপারে যায়। বিদ্যেধর দত্ত কি প্রোজেক্টর মেশিন, ছবির ফিতে এসব ভাড়া করে আনে? নাকি পেনড্রাইভ, ল্যাপটপ, এইসব?
— ওরে না রে। ওসব একেলে ব্যাপার স্যাপার। বিদ্যেধর সেকেলে লোক। 
— তাহলে? ফিলিম চলে কিসে?
— কেন? মন থেকে!
— বুঝলুম না খুড়ো!
— মন রে মন। বিদ্যেধরের সব মনে আছে। সেগুলো ভাবে। ভাবনার বড় জোর রে বাপ। পর্দায় ছবি ভেসে ওঠে। পুরো ফিলিম। 
সেকেলে পদ্ধতি শুনে ঘাবড়ে গেলুম।
মুখে বললুম — স্মৃতিধর!
খুড়ো হাসলেন — তেমন জিনিস পাতে না দিলে কিন্তু ধারণ হবে না বাপ। মনে গিয়ে না ঠোকরালে কিন্তু গত্ত হবে না। আর গত্ত না হলে জল জমবে না। সেই জল হাসতে কাঁদতে উপচে পড়বে, মানুষ ভাববে, তবে না বিদ্যেধরের মতন, কী যেন বলে, প্রোজেকশন করবে!
চুপ করে রইলুম। কী-ই বা বলার আছে?
খুড়োর গলা ভেসে এল — সামনের হপ্তায়... কাবলিওলা। ছবি বিশশেস। আর... বিদ্যেধর।
ফিরছি। যাওয়ার পথে দূর থেকে আটামাখার জলাজমিটা দেখা যায়...

Customers' review

5 Star
0%
50
4 Star
0%
50
3 Star
0%
50
2 Star
0%
50
1 Star
0%
50

Reviews

Be the first to review ""