ভয় জিনিসটার আভিধানিক অর্থ বলে কিছু নেই। ধরুন আপনি মনের সুখে একটা পাহাড়ের নীচের ছবির মতো পথ ধরে হেঁটে চলেছেন। সন্ধে হয়ে এসেছে। নির্জন, আলো-আঁধারি পথটা পেরোনোর সময় হঠাৎ পাহাড়ের চূড়ায় অজস্র পাখির দল একসঙ্গে আতঙ্কে চিৎকার করে ঘুরপাক খেতে আরম্ভ করল। আপনি চমকে অনুভব করলেন যে আপনার সামনের পাহাড়টা যেন আপনাকে খর চোখে দেখছে।
তার গরম নিঃশ্বাসের ক্ষীণ শব্দ শোনা যাচ্ছে! সেটা নড়েচড়ে উঠছে! মাটিতে তার কম্পন অনুভূত হচ্ছে।
হঠাৎ ঘরপাক খাওয়া পাখিগুলো ভীষণ আতঙ্কে ছিটকে গেল দিকবিদিকে! যেন চূড়ায় খুব ভয়ংকর কিছু একটা দেখতে পেয়েছে তারা! সেইসময়ে যে হিমেল স্রোতটা আপনার শিরদাঁড়া বেয়ে নামবে, সেটাকে বলে ভয়। এইরকম অজস্র ভয় আমাদের চারদিকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে। শুধু সময় হলে তখন তাদের দাঁত, নখ বেরিয়ে আসে।
যদি আপনি ভয় পাওয়ার থেকেও ভয়কে মুখের মতো জবাব দিতে ভালোবাসেন, তবে আপনার ঠিকানা হতে পারে 'সর্বংসহ কালীগুণীন'।
বহু গাঁ-গঞ্জের উপর ঘটে-যাওয়া ভয়ংকর ধূর্ত প্রেতের নৃশংস নরমেধ, হাজার হাজার বছর আগের দু-খানি দুর্বোধ্য হেঁয়ালি আর ততধিক ধূর্ত তান্ত্রিকের সঙ্গে সেই প্রেতের বুদ্ধির দাবাখেলার তিন-খানা ভয়ঙ্কর ঘটনার স্বাদ পাবার ঠিকানা এইমুহূর্তে আপনার হাতেই রয়েছে।
Customers' review
Reviews
Be the first to review ""