দক্ষিণে ভাগীরথীকে নিয়ে জেগে থাকা নদীয়া জেলার এক প্রান্তিক জনপদ, মাটিয়ারি, লোকমুখে মেটেরি। ইতিহাসের চলমান ধারায় অপর পাড়ের ইন্দ্রাণীনগরের সাথে তার নিত্য আলাপন। আঠারো কিলোমিটার দূরে, উত্তর-পূর্বে, পাল ও সেন বংশের স্মৃতি নিয়ে দেবলগ্রাম। মুকুন্দ চক্রবর্তীর চণ্ডীমঙ্গল, বিপ্রদাসের মনসামঙ্গলের মেটিরির ঘাটে ঘাটে 'গল্প বলে নদীর জল'। মাটিয়ারি জেগে থাকে লাঙলের ফলায়, বর্গীর হানায়, জমিদারের খাজাঞ্চিখানায়, পেতলের কারখানায়। বেঁচে থাকে ধর্মে ও জিরাফে। জেগে থাকে পাচালিতে, কবিগানে, কৃষ্ণযাত্রায়, রামযাত্রায়, পালাগানে। মাটিয়ারির অন্তর্জগৎ তিল তিল করে গড়ে ওঠে মঞ্চকে কেন্দ্র করে। এই ছোটো ছোটো জনপদগুলোকে যেন জাগিয়ে রাখে মঞ্চ। ছায়া ছায়া মায়া জড়িয়ে ধরে মঞ্চকে। দিলদারের পোশাক পরে নেয় একজন মানুষ। শঙ্কর মাস্টার। ছায়া ছায়া আলো শঙ্কর মাস্টারের চোখে মুখে। হ্যারিকেনের আলোয়, গোল্ডেন ঈগল খাতার পাতায়, আর্টেক্স পেনের চলনে শঙ্করমাস্টার লিখে চলে যাত্রার সংলাপ। রাত্রি গভীর হয়। স্বপ্নে শঙ্কর মাস্টার সংলাপ আওড়ায়- মঙ্গল করো ঠাকুর। আমার পলান্ন চাই না। ডাল-ভাতের যেন অভাব না হয় ঠাকুর।
Customers' review
Reviews
Be the first to review ""