গল্প-উপন্যাস পড়ে কতরকম ভাবেই উদ্বোধিত হয় মানুষ। কিন্তু সবচেয়ে বেশি মনের আরাম পাওয়া যায় বাংলার কোন্ লেখায়?
কার লেখায়? এর উত্তরে আমাদের অনেকেরই প্রথমে মনে পড়বে লীলা মজুমদারের নাম। যে-কোনো বয়সের পাঠক, যে-কোনো স্তরের পাঠক, যে-কোনো প্রবণতার পাঠক তাঁর লেখার মধ্যে মুক্তি পেয়ে যান স্বচ্ছ এক শৈশবসরসতার দিকে। এর মানে অবশ্য এ নয় যে লীলা মজুমদার শুধু শিশুসাহিত্যের লেখক। এর মানে কেবল এই যে, ছোটোবেলাকার হালকা মনটাকে তিনি স্বচ্ছন্দে ধরে রাখতে পারেন ছোটো-বড়ো-সবারই জন্য তাঁর লেখায়। সে লেখায় খোলা থাকে এক ভালোবাসার জগৎ: পশুপাখি প্রকৃতিমানুষে মিলিয়ে যে জগৎ, কৌতুকে-কল্পনায়-উদ্ভটে-বেদনায় মিলিয়ে নিয়ে যে জগৎ। সে-জগতে পৌঁছলে কখনো আমরা দেখতে পাব 'চাঁদনি রাতে দুঃখী কুকুররা সত্যি ঘুমোয় না, সারা রাত চাঁদের দিকে মুখ তুলে হু হু করে কাঁদে', আবার কখনো-বা শুনতে পাব এমন তুখোড় ইংরেজিতে বলা কথা: 'চুপ, চোখ ইজ জ্বলজ্বলিং'।
লীলা মজুমদার একবার বলেছিলেন যে যথার্থ সাহিত্যের জন্ম 'হৃদয়ের মর্মমূলে'। সেখান থেকেই জেগে ওঠে তাঁর লেখা, তাঁর পাঠকেরও হৃদয়ের মর্মমূলে সহজেই তিনি পৌঁছে যান তাই।
Customers' review
Reviews
Be the first to review ""