স্কুলজীবন থেকেই আমার গল্প লেখার শখ। আমার প্রথম গল্পটি স্কুল ম্যাগাজিনে ছাপা হয়। তখন আমি ক্লাস সেভেনে পড়ি। এরপর নিয়মিত স্কুল ম্যাগাজিনে আমার গল্প ছাপা হত। কলেজে ঢোকার পর কয়েকজন বন্ধু মিলে 'ধী' নামে একটা ক্লাব করি এবং 'ধী' নামক একটি পত্রিকা প্রকাশ করি। প্রখ্যাত বেলজিয়ামের স্কলার ফাদার ফাঁলোর উপদেশেই পত্রিকা ও ক্লাবের নামকরণ করা হয় যী। ধী-তে আমি নিয়মিত লিখতাম। তবে কোনোটাকেই সায়েন্স ফিকশন বলা যায় না। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য ইংলান্ড যাই। লেখার সুযোগ হয়নি, তবে বিদেশি সাহিত্য নিয়মিত পড়তাম।
দেশে ফিরে এসে আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে গ্রে স্ট্রিটে একটা চায়ের দোকানে আড্ডা মারতাম। আমরা কয়েকজন মিলে ঠিক করলাম বাংলায় সায়েন্স ফিকশন লিখব। একটা বই ও লিখলাম যৌথভাবে। নাম দিয়েছিলাম 'তিনটি বিজ্ঞাননির্ভর গল্প'। লেখক ইন্দ্রজিত গুপ্ত, সুনির্মল রায় ও আমি। 'বিস্ময়! সায়েন্স ফিকশন' পত্রিকার অন্যতম সম্পাদক সুজিত ধরের সঙ্গে এই সূত্রে আলাপ হয়।
সুজিত নিয়মিত তাগাদা দিতেন লেখার জন্য। দুর্ভাগ্যবশত বিস্ময়। বাংলা সায়েন্স ফিকশনের এক সাহসিক প্রচেষ্টা হয়েও বেশিদিন টেকেনি। এরপর অদ্রীশ বর্ধন মহাশয়ের সঙ্গে আলাপ হয়। আশ্চর্য!-তে আমার একটি গল্প ছাপা হয়। পরে অদ্রীশ বর্ধন সম্পাদিত 'দানিকেন ও মহাবিশ্ব রহস্য' (১৯৭৬) বইটিতে এই গল্পটি স্থান পায়। এরপর ১৯৮০ সাল থেকে আই এস আই ক্লাব প্রকাশিত 'লেখন' পত্রিকায় নিয়মিত লিখতাম। দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য কিছুদিন আই এস আই-এর সিইও ছিলেন। দুজনেই বইয়ের পোকা। আলাপ হতে দেরি হল না। ওঁর উৎসাহে জয়ঢাকেও নিয়মিত লিখতাম। তার মধ্যে বেশ কয়েকটিকে হয়তো সায়েন্স ফিকশন বা ফ্যান্টাসি ধরা যেতে পারে।
Customers' review
Reviews
Be the first to review ""