প্রাক-স্বাধীনতা যুগে কলকাতার বুকে বসে হেমেন্দ্রকুমার একের পর এক কিশোর-অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস লেখার জন্য যে কী পরিমাণ গবেষণা করে তবে আসরে নেমেছেন, তার খানিকটা ধারণা পাঠকদের দেবার উদ্দেশেই এই প্রয়াস।
এরপর, সচেতন পাঠকরাই স্থির করবেন যে তিনি শুধু বিদেশি লেখা থেকে টুকেছেন কি না আর সেইসব লেখার মধ্যে যেসব উপনিবেশবাদী, সাম্রাজ্যবাদী মূল্যবোধ আছে তা নির্বিচারে গলাধঃকরণ করে উগরে দিয়েছেন কি না।
আর 'পণ্ডিত'দের কাছে যিনি বা যাঁরা কলকে পান, সেই তাঁদের লেখার মধ্যে যে দেখা যায় হেমেন্দ্রকুমারের অনস্বীকার্য উত্তরাধিকার?
'সিধুজ্যাঠা' তো কুমারের 'জীবন্ত অভিধান' বিনয়বাবুর আধ্যাত্মিক বংশধর আর 'সেপ্টোপাসের খিদে' গল্পটি যে ওয়েল্স সাহেবের একটি ছোটোগল্প থেকে হেমেন্দ্রকুমারের 'পিশাচ' মারফত এসেছে তা এই খণ্ডেই 'পিশাচ' নিয়ে আলোচনার সময় দেখানো হয়েছে।
আমার আবেদন, নিজেরা মন দিয়ে গল্প-উপন্যাসগুলি পড়ে, টীকাসমূহের দিকে একবার দৃষ্টিপাত করে তার পরে হেমেন্দ্রকুমারকে নিয়ে যাবতীয় আপ্তবাক্যের সত্যাসত্যতা যাচাই করুন।
প্রথম খণ্ডে রাখা হল বিমল-কুমার-বিনয়বাবুর যেসব অভিযানে কল্পবিজ্ঞানের উপাদান আছে, সেগুলি। শুধু শেষ দুটি ছোটোগল্পে বিনয়বাবু অনুপস্থিত, এমনকি রামহরি-বাঘাও নেই, আছে শুধু বিমল আর কুমার।
Customers' review
Reviews
Be the first to review ""