সৃষ্টিসুখের উল্লাসে দে গরুর গা ধুইয়ে, এমনটাই হয়ে এসেছে যুগে যুগে। স্বর্ণযুগেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। বর্তমানেও নয়।
সুখ যে কোন এক বিশেষ ভঙ্গিমা বা কোন বিশেষ অভিলাষ পূরণে আসে, সেটা যদি বুঝতে পারা যেত তাহলে মানুষ সহজেই প্যাটার্ন বা ঘরানা পরিবর্তন করতে পারত।
একটা কথা মাথায় রাখতে হবে, স্বদেশের সব স্থানে বিদেশি গাছ বসালেই ফুলের কার্পেট তৈরি হবে এমন নয়, তার শ্রীবৃদ্ধি ও কমনীয় কান্তিসহকারে বিকশিত হবে না।
তাই সায়েন্স ফিকশন ভক্তদের বলি কি এবার ফিরে দাঁড়ান। অনুবাদ সাহিত্য নিশ্চয় ভালো কিন্তু সেই সঙ্গে স্বকীয়তা আনুন। এর মধ্যে খারাপ ভালো কিছুই নেই। সাবলীল অনুবাদ দেশের সম্পদ। কিন্তু স্বদেশের ফসল মৌলিক রচনা যে দেশের সত্যিকারের সম্পদ।
ইদানীং দেখছি অনুবাদ সাহিত্যের ছড়াছড়ি কিন্তু মৌলিক বাংলার তাগিদ কি কেউ অনুভব করছে না?
এই অবস্থায় আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি ২০১৮-য় কল্পবিজ্ঞান মৌলিক সৃজনীসাহিত্যে ভরা থাকবে। অবশ্য তার মধ্যে দু-চারটি মরশুমি ফুল থাক না। তাই আগামী কালের স্যাডনেশ হোক মৌলিক রচনা, আর মৌলিক রচনার শুরু হোক আজ থেকেই, কল্পবিশ্বের হাত ধরে।
Customers' review
Reviews
Be the first to review ""