লকডাউনের এই বন্দী দশায় যখন বাড়ির বাইরে পা রাখা প্রায় অপরাধের পর্যায় পড়ছে তখন বাড়ির মাথায় ছাদটি মুক্তির স্বাদ দিচ্ছে। অবশ্যই যাদের দখলে এই প্রাচুর্যটি আছে। আমার এই বিষয়ে বরাবরই ভাগ্য প্রসন্ন আমি বরাবর ছাদ ন্যাওটা। জীবনের প্রথম ভাগটা যেখানে কাটে অর্থাৎ পিত্রালয়ে একটি বড়ো ছাদ ছিল। সেটি ছিল ন্যাড়া। অর্থাৎ ভাতে পাঁচিল দিয়ে ঘেরা ছিল না। আজ ছাদ সম্বন্ধে দু-চার কথা লিখতে গিয়ে বেছে নিচ্ছি মেয়েবেলার ছাদ বিলাসের দুই-একটি সুখের কথা। পাশের বাড়ির বন্ধুনি ছিল আমারই বয়সি। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে জল খাবার খেয়েই ছাদে চলে যেতাম। ছাদে গিয়ে হাঁক মারতাম তাকে। আমাদের ছাদে বসে সূর্য না ডোবা অবধি বন্ধুনির সঙ্গে চলত গল্প। তিনতলার ছাদটিতে কোন গাছপালার টব ছিল না। কেবল ন্যাড়া ছাদটিই আমার প্রাণের দোসর হয়ে ছিল। বলা যেতে পারে... এই ছাদে আমার মুক্তি আলোয় আলোয়।
বাবাও অফিস থেকে বাড়ি ফিরে ছাদে উঠে আসতেন। একটা শতরঞ্জি ছাদে বিছিয়ে বসতেন। সঙ্গে বালিশ থাকত। বাবা
কিছুক্ষণ পর সন্ধ্যা ঘনালে মিস্টি ঠান্ডা হাওয়ায় শুয়ে পড়তেন। টেলিভিশনের সুবিধা বা অসুবিধে তখন কোনটাই ছিল না। তাই ছাদ আমাদের জীবনের একটা বড়ো অংশ জুড়ে থাকত। বন্ধুনি সন্ধ্যে হলে বাড়ি ফিরে যেত। আমি তখন বাবার পাশে বসে
Customers' review
Reviews
Be the first to review ""