প্রান্তিক কাব্যের প্রবেশক কবিতাঃ
“অস্ত-সিন্ধুকূলে এসে রবি
পূরব দিগন্ত পানে, পাঠাইল অন্তিম পূরবী”
প্রান্তিক এমন এক কাব্য, যার প্রবেশপথটি সুগম নয়। এই কাব্যে কবিতায় কবিতায় অনুভূতির পলায়নপর ছায়ামূর্তির পেছনে ধাবমান রবীন্দ্রনাথকে অনুসরণ করা পাঠকের পক্ষে কঠিন কাজ বলেই কাব্যটি আপাতভাবে দুষ্প্রবেশ্য। এই চেষ্টা এতটাই শ্রমসাধ্য যে প্রশ্বাস রুদ্ধ হয়ে আসে। প্রান্তিক-পূরবী পর্ব নিয়ে একটি বিস্ময়কর গ্রন্থ ‘পূরব দিগন্ত পানে অন্তিম পূরবী’।
যে আত্মবোধের দ্বিতীয় ঈশ্বর কে কবি খুঁজে চলেছেন সারা জীবন ধরে, সেই খোঁজ আরও ব্যাকুল হয়েছে প্রান্তিক-পূরবী পর্বে এসে। বার বার প্রান্তিকে এসেছে বাঁশির কথা—বাঁশির সুরের কথা। সেই বাঁশিটিই হয়ত ছিল ‘অতিথি’র তারাপদর হাতে। তার শ্রুতি-অগম্য শব্দহীন ধ্বনিটিকে সে চিরকাল ইথার তরঙ্গে ধরে রাখে।এই শ্রুতি-অগম্য বাঁশির সুরটি বারবার বেজে ওঠে রবীন্দ্রনাথের জীবনে ও কাব্যে। সেই সুরটিকেই খুঁজেছেন আলোচক।
Customers' review
Reviews
Be the first to review ""