সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় : অবিশ্বাস্য হলেও আমার মনে আছে
ফিল্মের জন্যে ঋত্বিকের অসহায়তা, একটু ভালোবাসার জন্যে, ফিল্ম দেখানোর জন্যে সম্মতি চেয়ে বেড়ানো, এ দিকে ফিল্ম ইনস্টিটিউটের অসংখ্য ছাত্রছাত্রীরাই প্রথমে তাদের এত ভালোলাগা জানিয়েছিল 'কোমল গান্ধার' দেখে। আমরা কি ওই ঘটনাটা দিয়ে শুরু করতে পারি এই আলোচনাটা?
কুমার সাহানি: একটা মজার কথা বলি, ফিল্ম ইন্স্টটিউন্টের
যে কাউকে দেখানোর আগে ওই সিনেমাটা ফিল্ম ইন্স্টটিউটের বিশেষ তিন জনকে উনি দেখিয়েছিলেন। কলকাতায় তাঁর সহকর্মী বন্ধুরা, কমরেডরা যখন তাঁকে একঘরে করে দিল সেই সময়ে। 'কোমল গান্ধার' কে ঘিরে কিছু ঘটনা ঘটেছিল যা তাঁকে খুব কষ্ট দিয়েছিল। উনি বুঝতে পারছিলেন না আমাদের মতন দর্শককে উনি ধর্তব্যের মধ্যে আনবেন কি আনবেন না। একেবারে পাগলের মতন করছিলেন। প্রথমে আমরা তিন জন ছিলাম। মহারাষ্ট্রের এক পরিচালক রাম গাবালে, যাকে পুনের সাধারণ মানুষ চিনত নেতা হিসেবে। আমি যখন বক্তৃতা দিতাম রাম গাবালে দর্শকাসনে ছিলেন। দুশো দর্শক তো ছিলই। আস্তে আস্তে মনে পড়ে যাচ্ছে সে সব দিন। প্রথমে আমরা তিন জন রাম সামনে, ঋত্বিকদা আমার পাশে, তার পর মণি কউল। হচ্ছিল কী, সিনেমাটা যত এগোচ্ছিল, আমরা তত সিনেমাটার মধ্যে ঢুকে পড়ছিলাম আর ফিসফিস করে ঋত্বিকদাকে বলছিলাম। রাম পিছন ফিরছেন আর বলছেন, 'আহা, আহা'।
Customers' review
Reviews
Be the first to review ""