কুরুমডি গ্রামটা বেশ পুরোনো। পশ্চিমে একটা উঁচু টিলা, সেখানে অনেকগুলো মহুয়া গাছ। মহুয়া গাছ খুব বড়ো বড়ো হয়। কাণ্ড ডালপালা সব কালো। চওড়া চওড়া পাতা, মাঘ-ফাল্গুনে সেই পাতা হলদেটে, শেষে সোনালি হয়ে ঝরে পড়তে থাকে। সারা দিন বাতাসে একটি দুটি দশটি পাতা খুব ধীরে সুস্থে ভেসে ভেসে গাছতলায় নামে। মহুয়ার সব পাতা ঝরবার আগেই পলাশ গাছের বেঁটেখাটো খসখসে ডাল ভর্তি করে ঝাঁকে ঝাঁকে আগুন রঙের ফুল ফুটে ওঠে। তখন, সেই শীতের শেষে মাঠ পাহাড়ে সবুজের বাহার আর তেমন থাকে না। বেশিরভাগ গাছের পাতা ঝরে গেছে, মাঠের ধান কাটা শেষ, ভুট্টা তোলাও শেষ। শাল, বট, তেঁতুল— যাদের পাতা ঝরেনি, তাদের সবুজও ধুলোয় ময়লাটে। তখন বাহার দেখতে হয় ফুলের। শিমুল পলাশের লাল দেখতে দেখতে চোখে ঘোর লেগে যায়।
Customers' review
Reviews
Be the first to review ""