গত প্রজন্মের এক ছিন্নমূল পরিবার এপার বঙ্গে এসে মফস্বলে থিতু। এখানে ভাড়া বাড়ি আছে। পাড়া আছে। গঙ্গার ঘাট আছে। আছে হৃদয়ে কাঁটাতারের দাগ নিয়ে জীবনের উদযাপন। আর? বাবার ইয়াশিকা ক্যামেরা।
শাটারে হাত দিলেই ইয়াশিকা বলে উঠত, ‘ক্লিক ক্লিক’। দাদা বলত, ওটা ক্যামেরার ভাষা, আসলে বলতে চাইছে ঠিক ঠিক। ইয়াশিকা ঠিক ঠিক করে আমাদের ফ্রেমে ধরত। আর ক্লিক ক্লিক করে ছবি তুলত। আমাদের মধ্য ওই একমাত্র জাপানি। থাকে পাইন কাঠের বাক্সে। বাবা আমাদের দাঁড় করাতো আলোছায়ায়। ধূসর বিকেলের কোনো এক রাস্তায়। হারিয়ে যাওয়া সকালের কোনো এক উঠোনে। উনুনের ধোঁয়ায় চোখ জ্বললে। মিঠাই বরফ টিং টিং করে ঘন্টা বাজিয়ে জানলার সামনে এলে। কারেন্ট অফের অন্ধকারে গল্প বাঁধতো। সেইগুলো বেশ কিছু্টা জানতো ঘুলঘুলিতে বাস করা চড়াই দুটো। তাদের কিচকিচ করতে থাকা ছানা দুটো। শেষ দুপুরে রোদে শুয়ে কুটুস কুটুস ল্যাজ নাড়া মিনিটা। আর অনেকটা জানতো বাবার ইয়াশিকা ক্যামেরা।
Prices are subjected to change. We will inform you in such cases