₹162 ₹180
10% off
Publisher- Khoai Publishing House
Writer- Sanjay Karmakar
Language- Benagli
Binding-Paper Binding
প্রশ্নগুলো প্রথম তোলে দিনু রক্ষিত, 'যদি আদমশুমারি হয়, বাঘশুমারি হয়, তবে ভূতশুমারি হবে না কেন? ভূতেদেরও যে একটা মান-ইজ্জত আছে, সামাজিক কদর-টদর আছে, সেকথা অস্বীকার করে আমরা কি ওদের প্রতি অন্যায় করছি না?'
দিনুর প্রশ্নগুলো শুনে আলোচনা সভার মাঝখান থেকে উঠে সজোরে গলা খাঁকারি দিয়ে পরেশ সামন্ত বলে, 'হাঃ, যেমন তোমার মাথা তেমন তোমার আক্কেল! ভূত গণনা কি চাট্টিখানি কতা? এরা কি বাঘের মত পায়ের ছাপ ফেলতে ফেলতে হাঁটবে, নাকি তুমি ক্যামেরা নিয়ে ফটাস ফটাস ছবি তুলবে বলে সামনে এসে দাঁতকপাটি বার করে দাঁড়াবে?'
'আহা, ক্যামেরা নিয়ে খামোখা ভূতের ছবি তুলতে যাব কেন? এ্যাদ্দিন ধরে এই গ্রামে বাস করছি আর নিজের গ্রামের ভূত দেখে চিনতে পারব না?আমাদের বাপ-জ্যাঠারাই তো মরে মরে সব ভূত হয়েছে। এখন সেই সংখ্যাটা কত, সেটাই শুধু জানতে হবে।'
কথাগুলো এক নিঃশ্বাসে বলে দু-ঢোঁক জল খায় দিনু। পরেশ তখন ঝাঁঝালো গলায় বলে, 'কিন্তু ভূত গণনা করে লাভটা কী হবে শুনি? সরকার থেকে হপ্তায় হপ্তায় রেশন পাঠাবে নাকি তাদের ছানাপোনাদের জন্য মিড-ডে মিল পাঠাবে?'
'তোমার মাথায় যে গোবর ঠাসা, সে কথা আর সবাইকে নাই বা জানালে। আহাম্মকের মত কথা বোলো না তো! লাভ হবে না, একথা তোমায় কে বলেছে? এই ধরো, আমরা যদি ভূতশুমারির কাজটা ঠিকঠাক করতে পারি তাহলে এই পৃথিবীতে আমাদের বাসুদেবপুরই হবে প্রথম গ্রাম যেখানে ভূতগণনার মত অবিশ্বাস্য ঘটনার শুভ সূচনা হবে। খবরটা চারপাশে রাতারাতি চাউর হতেই কত টিভি চ্যানেল, খবরের কাগজের রিপোর্টার পিলপিল করে ছুটে আসবে এই গণ্ডগ্রামে! তখন গ্রামের একজন প্রতিনিধি হিসেবে তুমি হাসিমুখে পান চিবোতে চিবোতে ক্যামেরার সামনে গিয়ে দাঁড়াবে। দু-চারটে মনের কথা বলবে। কত লোক তোমাকে চিনবে।
এর পরের কথা জানতে হলে পড়ে নিন লেখক সঞ্জয় কর্মকারের কলমে খোয়াই পাবলিশিং হাউসের নতুন বই "ইচ্ছেফুলের গন্ধ"।
Publisher- Khoai Publishing House
Writer- Sanjay Karmakar
Language- Benagli
Binding-Paper Binding
প্রশ্নগুলো প্রথম তোলে দিনু রক্ষিত, 'যদি আদমশুমারি হয়, বাঘশুমারি হয়, তবে ভূতশুমারি হবে না কেন? ভূতেদেরও যে একটা মান-ইজ্জত আছে, সামাজিক কদর-টদর আছে, সেকথা অস্বীকার করে আমরা কি ওদের প্রতি অন্যায় করছি না?'
দিনুর প্রশ্নগুলো শুনে আলোচনা সভার মাঝখান থেকে উঠে সজোরে গলা খাঁকারি দিয়ে পরেশ সামন্ত বলে, 'হাঃ, যেমন তোমার মাথা তেমন তোমার আক্কেল! ভূত গণনা কি চাট্টিখানি কতা? এরা কি বাঘের মত পায়ের ছাপ ফেলতে ফেলতে হাঁটবে, নাকি তুমি ক্যামেরা নিয়ে ফটাস ফটাস ছবি তুলবে বলে সামনে এসে দাঁতকপাটি বার করে দাঁড়াবে?'
'আহা, ক্যামেরা নিয়ে খামোখা ভূতের ছবি তুলতে যাব কেন? এ্যাদ্দিন ধরে এই গ্রামে বাস করছি আর নিজের গ্রামের ভূত দেখে চিনতে পারব না?আমাদের বাপ-জ্যাঠারাই তো মরে মরে সব ভূত হয়েছে। এখন সেই সংখ্যাটা কত, সেটাই শুধু জানতে হবে।'
কথাগুলো এক নিঃশ্বাসে বলে দু-ঢোঁক জল খায় দিনু। পরেশ তখন ঝাঁঝালো গলায় বলে, 'কিন্তু ভূত গণনা করে লাভটা কী হবে শুনি? সরকার থেকে হপ্তায় হপ্তায় রেশন পাঠাবে নাকি তাদের ছানাপোনাদের জন্য মিড-ডে মিল পাঠাবে?'
'তোমার মাথায় যে গোবর ঠাসা, সে কথা আর সবাইকে নাই বা জানালে। আহাম্মকের মত কথা বোলো না তো! লাভ হবে না, একথা তোমায় কে বলেছে? এই ধরো, আমরা যদি ভূতশুমারির কাজটা ঠিকঠাক করতে পারি তাহলে এই পৃথিবীতে আমাদের বাসুদেবপুরই হবে প্রথম গ্রাম যেখানে ভূতগণনার মত অবিশ্বাস্য ঘটনার শুভ সূচনা হবে। খবরটা চারপাশে রাতারাতি চাউর হতেই কত টিভি চ্যানেল, খবরের কাগজের রিপোর্টার পিলপিল করে ছুটে আসবে এই গণ্ডগ্রামে! তখন গ্রামের একজন প্রতিনিধি হিসেবে তুমি হাসিমুখে পান চিবোতে চিবোতে ক্যামেরার সামনে গিয়ে দাঁড়াবে। দু-চারটে মনের কথা বলবে। কত লোক তোমাকে চিনবে।
এর পরের কথা জানতে হলে পড়ে নিন লেখক সঞ্জয় কর্মকারের কলমে খোয়াই পাবলিশিং হাউসের নতুন বই "ইচ্ছেফুলের গন্ধ"।